ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের জন্য কত জিবি র‍্যাম প্রয়োজনীয়?

আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো ল্যাপ্টপ বা ডেস্কটপের জন্য কত জিবি র‍্যাম প্রয়োজনীয় এবং জানবো র‍্যাম কী কাজে লাগে ও বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে।


ভূমিকা

আমরা অনেকেই জানতে চাই যে,RAM কি বা কি দরকারে লাগে বা কত জিবি ram প্রয়োজন হয় এমন অনেক প্রশ্নই অনেককেই করে থাকে।প্রাথমিকভাবে রামে রাখা হয় কম্পিউটারের কাজের বিভিন্ন ডাটা গুলোকে।তাই বলা যায় যে ram যত বেশি হবে ডাটা নিয়ে তত বেশি কাজ করা যাবে।
এইজন্য কাজের ক্ষেত্রে ডিভাইস নিতে আমরা সবাই বেশি ram চাই যুক্ত করতে।বর্তমান সময়ে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য জানতে চাই ত জিবি র‍্যাম নিলে সকল ধরনের কাজ করা সম্ভব হবে?
এখন, এ বিষয় নিয়ে আমরা আপনাদের কাছে কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করবো।আমি আগে চার ধরনের র‍্যাম নিয়ে কাজ করছি এই আর্টিকেলটি লিখার আগে, যেমনঃ৪ জিবি,৮ জিবি,১৬ জিবি,৩২জিবি।এই সকল র‍্যাম এর মধ্যে আমি যে সকল পরীক্ষা করেছি তার মধ্যে ভিডিও গেম, ভিডিও এডিটিং, অনলাইন ব্রাউজিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং।
আমাদের কত জিবি র‍্যাম প্রয়োজন?আমরা প্রত্যেকে এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে জানতে পারবো এবং বুঝতেও পারবো। আমাদের প্রথমে অনলাইন ব্রাউজিং টেস্টের পরীক্ষার জানাবো ফল।

অনলাইন ব্রাউজিং

ট্যাব ওপেন করার অনলাইন ব্রাউজিং এর ক্ষেত্রে ফর্মুলা ব্যবহার করছি। কোন রকম মজার ফল পেয়েছি এক র‍্যামের একেক রকম।কয়টি নানান ধরনের ওয়েবসাইটের ট্যাম ওপেন করা যায় তা ক্রোম ব্রাউজারে টেস্ট করছি কোন র‍্যাম দিয়ে তা নিচে বিশ্লেষণ করা হলো-


৪জিবি র‍্যামঃএ র‍্যামে ভিন্ন ভিন্ন রকমের ভারী ওয়েবসাইট ছিল ও এই র‍্যামে ১৩টি ট্যাব খুলেছিলাম।এখানে একটি মজার বিষয় হচ্ছে ১৩টি ট্যাব সাপোর্ট করে ৪জিবি র‍্যামে এ মাত্র।১৪ নাম্বার ট্যাবটি খোলার চেষ্টা করলে ক্রাস করছে ক্রোম সাথে সাথে।দুই বাড়ি করেছি পরীক্ষাটি এবং দুইবারই সেইম ফলাফল হয়েছে।
৮জিবি র‍্যামঃআমি ভেবেছিলাম ৪৫টিরও বেশি ট্যাব ওপেন করব ৮জিবি র‍্যামে কিন্তু এটা আর হয়নি।২৫টি ট্যাব প্রথমে অল্প সময়ের মধ্যে খুললেও পরে বাকিগুলো ট্যাগ খুলতে বেশি কষ্ট হয়েছে।সফল হয়েছি সর্বমোট ৪১ টি ট্যাব ওপেন করতে।বেশি করার ধৈর্য হয়নি এজন্য দুইবার পরীক্ষাটি করেছি।কিন্তু ৪২/ ৪৩ নাম্বার ট্যাব ওপেন করতে গেলে আর নিতে পারেনা এই র‍্যাম।
১৬জিবি র‍্যামঃবেশি ভালো কাজ করে ১৬ জিবি র‍্যাম।৮০টি ট্যাব নির্দ্বিধায় প্রথমেই ওপেন হয়ে যায়।এছাড়াও ১৫০ টি ট্যাব ভালোভাবেই ওপেন হয়েছিল।এই পরীক্ষার ফলাফলটি ভালোই সম্পূর্ণ হয়েছিল দুই বারি।
৩২জিবি র‍্যামঃএখন আপনারা সবাই এই রামের পাওয়ার সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক হবেন?
সফল হয়েছে ১৬০টি ট্যাব ওপেন করতে র‍্যাম দ্বারা কোনরকম সমস্যায় হয়নি ওভালোভাবে কোন সমস্যা ছাড়াই ৩৫০টি ট্যাব ওপেন হয়ে গেছে।৪১৯তম ট্যাব খুলতেই আর কোন প্রকার কাজ হয় না এবং ক্রাস করে ব্রাউজার।ফলাফলটি একই হয়েছে তিনবার করার পরেও।

ভিডিও গেম মোড

এটি পরীক্ষায় খুবই হাই গ্রাফিক্সের দুটি গেম খেলা হয়েছে।রাইজ অব দ্যা ট্মব রাইডার ও কল অফ ডিউটি মডার্ন ওয়্যার এয়ারফেয়ার ৪,৮,১৬,৩২ র‍্যাম ব্যবহারের মাধ্যমে গেম দুটিতে আগের মত করে খেলা যায় কিনা তা দেখা হয়েছে। এই পরীক্ষায় আমি একটু হতভম্ব হয়েছি।এই জন্যেই যে এখানে যে উল্লেখ করা হয়েছে তার থেকেও কম র‍্যামে কাজ হয়েছে।
১৬জিবি র‍্যামে - রাইজ অব দ্যা টম্ব রাইডার ও ৮জিবি তে - কল অফ ডিউটি মডার্ন ওয়ারফেয়ার এই দুটি করা হয়েছিল।
৪ জিবি র‍্যামঃঅল্প সময়ের মধ্যে দুটি গেম এর মধ্যে দুটি প্লে হয়েছে কিন্তু রাইজ অফ দ্যা টম রাইডার গেমটি অল্প সময়ে চলার পরে অফ হয়ে গেইয়েছিল র‍্যাম কাজ করা।
৮জিবি র‍্যামঃরাইজ অফ দ্যা টম রাইডার গেমটি সিপিউ টেম্প বৃদ্ধি হয়ে ফুল র‍্যাম নিয়ে কাজ করছিল। তবে দুটি গেমে চলছিল এই র‍্যামে।
১৬জিবি র‍্যামঃখুব সুন্দর ভাবে দুটি গেমি খেলা যাচ্ছিল বা চলছিল।
৩২জিবি র‍্যামঃএই র‍্যামে খুব ভালোভাবে গেম খেলা যাচ্ছিল এবং এর পারফর্ম অতি সুন্দর ছিল।

ভিডিও এডিটিং মোড

আমরা বেশিরভাগ মানুষই জানে যে ভিডিও এডিটিং করতে অনেক হায় র‍্যাম ও হাই গ্রাফিক্স লাগে এই কাজটি করতে।৪,৮,১৬ এবং৩২জিবি র‍্যামে অনেক সুন্দর ভাবে ভিডিও এডিটিং করা যায়।তবে সাধারণত এডিটিং করার সময় কোন রকমের সমস্যা দেখা দেয় না র‍্যামে।কিন্তু ভিডিও এডিটিং যখন বড় ধরনের হয়। 
যেমনঃভিডিও কেটে অন্য ভিডিওর অংশ যোগ করা,সাউন্ড মিক্সং,আফটার ইফেক্ট ব্যবহার করা এই ধরনের কাজগুলোতে কোন প্রকার শান্তি হয়নি ৮জিবি র‍্যামে কাজ করে।সত্যি কথা কি হাই র‍্যাম থাকা খুবই জরুরী গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং এডিটিং করার সময়। অবশ্যই সেটি সর্বনিম্ন ১৬ জিবি র‍্যাম হওয়া প্রয়োজন হয়।
এখানে আরেকটি দিক লক্ষ রাখতে হবে আমরা যে কাজের জন্য নিচ্ছি সেটি যে র‍্যাম নিলে ভালো্ভাবে কাজ করা যাবে।


যে কোনো ধরনের সাধারণ কাজ করার জন্য যেমন,গান,মুভি ও অতি সাধারণ কাজের জন্য১৬ বা ৩২ জিবি র‍্যাম নেওয়া হচ্ছে এক ধরনের অপচয়।এই কাজগুলো ৪জিবি র‍্যামেই করা যেতে পারে।বিভিন্ন ধরনের আপডেট ও উন্নত কাজ করার জন্য একটু বেশি র‍্যাম দরকার হয় ও পিসি সফটওয়্যার গুলোর জন্যই দরকার পড়ে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

উপরের তথ্যগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে যে,৮জিবি র‍্যাম বর্তমান সময়ের জন্য সফটওয়্যার এর কাজ করলে খুব ভালোভাবে চলবে এবং এতে প্রায় সময় আপডেট করতে হবে না হলে অনেক কিছু সমস্যা দেখা দিবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url