পেয়ারা পাতার ২০টি উপকারিতা ও ৩টি অপকারিতার বিস্তারিত জানুন

আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা জানবো পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতার বিষয়ে কিছু তথ্য উল্লেখ করার জন্যই।পেয়ারা গাছে যেমন পেয়ারা ফলের পুষ্টিগুণ রয়েছে ঠিক তেমনি পেয়ারার পাতাতেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।কিছু কিছু রোগ আছে যা মানুষের শরীরের অনেক ক্ষতি করে থাকে আর এই পেয়ারার পাতা দিয়ে সেই রোগগুলো নিরাময় করা যায়।


এইজন্য এই আর্টিকেলটিতে আমরা আজকে পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ছাড়াও আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো।

পেয়ারা পাতার ঔষধি গুণ

পেয়ারা পাতায় পাওয়া যায় ভরপুর ঔষধি গুন।স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ও নানা রকমের রোগের চিকিৎসাই পেয়ারার পাতার ঔষধি গুন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।আমাদের শরীরের সুস্থ রাখার জন্য এই পাতাটি একটি হারবাল ঔষধ হিসেবে পরিচিত।নিচের কিছু ঔষধি গুণ উল্লেখ করা হলো-
ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে থাকেঃঅ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া গুন পেয়ারার পাতার পাওয়া যায়।এইজন্য ডায়রিয়াতে থাকে যে সকল ব্যাকটেরিয়া গুলো সেগুলো ধ্বংস করে থাকে।
অতিরিক্ত ওজন কমায়ঃপেয়ারার পাতা কার্যকারী ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে।এটি প্রতিরোধ করে কমপ্লেক্স র্স্টার্চকে চিনিতে রূপান্তরিত করে না।এতে করে অতিরিক্ত ফ্যাট জমে না শরীরে ও ওজন কম হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারীঃরক্তের অতিরিক্ত গ্লুকোজ কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের এক বিশেষ কার্যকর ভূমিকা রাখে এই পেয়ারার পাতা। মানুষের মল্টোজ ও সুক্রজ শরীরের শোধন কমিয়ে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয় এই পেয়ারার পাতা।
ব্রংকাইটিস চিকিৎসায় সাহায্য করেঃমানুষের শরীরের কফ থেকে রেহাই পাওয়ার প্রধান উপাদান হলো পেয়ারার পাতা। কারণ এতে মিউকাস সিক্রোশন ওঅ্যাল্ভিওলি প্রসারিত কমিয়ে দেয় ফুসফুসের এতে করে কফ আর হয় না।
গামের প্রদাহ ও দাঁতের ব্যথা ভালো করেঃগামের প্রদাহ ও দাঁতের ব্যথা ভালো করতে যেটুকু পুষ্টিগুণ প্রয়োজন তা পেয়ারার পাতায় পাওয়া যায়।এছাড়া মুখের ঘা ও জর আসার পরে যে জ্বর ঠোসা হয় তা ভালো করতে এর পাতার ভূমিকা অপরিহার্য।
হজমের সাহায্য করেঃহজম শক্তি ভালো করতে পেয়ারার পাতার ভূমিকা রয়েছে।কারণ ডাইজেস্টিভ এনজাইম এইএই প্রডাকশন বাড়িয়ে দেয় যার ফলে মানুষের হজমের ক্ষমতা যতটুকু প্রয়োজন তা হয়।
পেটের ব্যথা কম করে দেয় পেয়ারার পাতা। পাকস্থলের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এই পাতাই থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুনের জন্য।
ডেঙ্গুর চিকিৎসার প্রতিরোধ করেঃপ্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় বা ন্যাচারাল রেমেডি হিসেবে ডেঙ্গুর জ্বর চিকিৎসায় চিকিৎসকেরা পেয়ারার পাতা ব্যবহার করে থাকে।প্লাটিলের কাউন্ট কম হয় ডেঙ্গু জ্বরের। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই পেয়ারার পাতা প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে পারে।
কলেরার চিকিৎসায় কার্যকরঃকলেরা চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই পেয়ারার পাতা।তার কারণ হলো এই পাতায় একটি শক্তিশালী ব্যাকটেরিয়া গুণ রয়েছে।
এলার্জির সমস্যা দূর করেঃএলার্জির সমস্যা দূর করে পেয়ারার পাতা এবং এই পাতায় ভিটামিনের প্রোডাকশন বন্ধ করে এজন্য এলার্জি কমে যায়।
সংক্রমণ সুস্থ করেঃযেকোনো শরীরের কাটা ঘা দ্রুত শুকাতে এই পেয়ারার পাতার ভূমিকা কার্যকারী। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াও এন্টি ইনফ্লাইমেটরি টি গুণের জন্য ইনফেকশন দ্রুত সঠিক হয়ে যায়।
ব্রণ চিকিৎসাঃকালো দাগ ও ব্রণ দ্রুত ভালো করতে পেয়ারার পাতাসাহায্য করে। ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে ধ্বংস করে এই পেয়ারা পাতা। কারণ এই পাতায় অ্যান্টিসেকটিক রয়েছে।
গীরার ব্যথা কমায়ঃপেয়ারার পাতাতে বিদ্যমান রয়েছে কারসেটিন ডায়েট পেইন।যা আর্থারাইটিস ব্যথা কমাতে হ্রাস করে থাকে।
চুল পড়তে প্রতিরোধ করেঃপেয়ারার পাতার নির্যাস মানুষের মাথায় ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং এতে করে চুল পড়তে প্রতিরোধ করে পেয়ারার পাতা।
লিভারের সুস্থ রাখতে সাহায্য করেঃমানুষের শরীরের নানা রকমের ইনজুরি সঠিক করে লিভারকে সুরক্ষা করে এই পেয়ারার পাতা। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ থেকে লিভারকে সুস্থ রাখে।
পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন বাড়ায়ঃপুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পেয়ারার পাতার চা খাওয়া উচিত। এতে করে পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধি হয়।

পেয়ারার পাতার উপকারিতা কি?

পেয়ারার পাতায় পাওয়া যায় ভিটামিন ও পুষ্টিকর উপাদান।যা মানুষের শরীরের ও চুলের জন্য অনেক ভালো উপকারী।চুলের গোড়া মজবুত করতে পেয়ারার পাতার রস অনেকে ব্যবহার করে।তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রোগের ওষুধ হিসেবে চিকিৎসকেরা ব্যবহার করে থাকে।
যেমন কোলেস্টরেল, দাঁত ব্যথা, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার ও আরো অনেক রোগের জন্যই এই পেয়ারার পাতা ব্যবহার করা হয়। ঔষধি গুন থাকার কারণে পেয়ারার পাতার ব্যবহার হয়।

পেয়ারার পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

আগেকার যুগের বৃদ্ধ মানুষেরা বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছ ও গাছের পাতা ব্যবহার করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করত ও রোগ নিরাময় করতো। তবে ঔষধি গাছ ও গাছের পাতার মধ্যে পেয়ারার পাতা একটি উপকারী গাছ।এই পেয়ারা পাতা মানুষের শরীরের রক্তের শর্করা সঠিক রাখতে সাহায্য করে। লিভারের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় এবং আরো অনেক উপকারী লক্ষ্য রয়েছে এই পেয়ারা পাতায়। তবে কোন কিছু অতিরিক্ত খাওয়াও শরীরের জন্য ভালো না।


তেমনি পেয়ারার পাতা খুব বেশি খাওয়া হলে মানুষের শরীরে অন্যরকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।লিভারের জন্য ট্রেনিক খুবই বিষাক্ত একটি পদার্থ যা পেয়ারার পাতায় পাওয়া যায়।
এজন্য পেয়ারা পাতা খাওয়ার আগে পরিমিত মাত্রায় শরিলে গ্রহণ করতে হবে।আর্টিকেলটি সেজন্য পেয়ারার পাতার উপকারিতা ও অপকারিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে নিচে-

পেয়ারা পাতার উপকারিতা

  • ভিটামিন পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে পেয়ারের পাতায়। মানুষের শরীর ও চুলের জন্য অনেক উপকারী। নতুন চুল গজাতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে ও মাথার চুল ঝরে পড়ার ক্ষেত্রে পেঁয়াড়ার পাতার রস অনেক উপকারী।
  • যেকোনো ধরনের রোগ আপনাদের শরীরে থাকলে নিয়মিত সাত সাত দিন এই পেয়ারার পাতা খেলে রোগ নিরাময় করা যায়। কোলেস্টেরল,ডায়াবেটিস,ব্লাড প্রেসার ও আরো অনেক এমন রয়েছে যা এই পেয়ারার পাতার ভূমিকা রয়েছে।
  • আমাদের দাঁতের জন্য পেয়ারার পাতা অনেক উপকারী। দাঁতের শিরশিরানি ভাব কমাতে পেয়ারার পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে মুখের ভিতর চিবিয়ে কিছুক্ষন রাখলে শিরশিরি ভাব কমে যায়।
  • বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।এই রোগীদের জন্য পেয়ারার পাতা খুবই উপকারী।প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬,ভিটামিন বি৩ ও নেয়াসিন পেয়ারার পাতায় পাওয়া যায় যা ডায়বেটিস রোগীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা রাখে।
  • মানুষের শরীরের গোপনীয় রোগ থেকে পেয়ারার পাতা রক্ষা করে থাকে।

পেয়ারার পাতার অপকারিতা

পেয়ারার পাতার উপকারিতার পাশাপাশি কিছুটা অপকারিত রয়েছে।ঔষধি গোল বেশি থাকার কারণে পেয়ারার পাতার অপকারিতা অনেকটা কম। তবুও কিছু অপকারিতা রয়েছে পেয়ারা পাতায়। পেয়ারার পাতা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় সাধারণত পরিমাপের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে।নিচে কিছু অপকারিতা বা পেয়ারা পাতার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা হলো-
  • প্রত্যেকে জানি যে, মানুষের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ পেয়ারা পাতা কমাতে পারে। এজন্যই আমরা যদি বেশি পরিমাণ পেয়ারা পাতা রস কিংবা পেয়ারার পাতায় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলি তখন শরীরের রক্তচাপ প্রয়োজনে থেকেও বেশি কমে যাবে। তখন মানুষের শরীরে অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিবে।
  • পেয়ারার পাতা গর্ভবতী মায়েদের জন্য একদমই ভালো না।তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অবশ্যই গর্ভবতী মহিলারা পেয়ারা পাতা খেতে পারবে।
  • অনেক বেশি গুনাগুন পাওয়া যায় পেয়ারার থেকেও পেয়ারার পাতায়।শেষ করা যাবে না যা বলে পেয়ারা পাতার গুনাগুন সম্পর্কে।এজন্য পেয়ারার পাতা আমাদের প্রতিদিনের যে কোন কাজে ব্যবহার করতে পারি।কোন প্রকার ক্ষতিকারক উপাদান এই পেয়ারার পাতাতে পাওয়া যায় না। এই জন্য প্রতিদিন পেয়ারার পাতা ব্যবহার করতে পারি নিঃসন্দেহে। পেয়ারার পাতা খেয়েও মানুষের শরীরের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখা যায়।

পেয়ারার পাতার উপকারিতা চুলের জন্য

মানুষের চুলের জন্য পেয়ারা পাতা অনেক উপকারী।প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেয়ারার পাতায় রয়েছে এজন্য মানুষের নতুন চুল গজাতে ও চুল লম্বা করার জন্য অনেক উপকারী এই পেয়ারার পাতা।অনেকেই চুল মজবুত ওজন করতে চায় তাদের জন্য পেয়ারার পাতা খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান।চুলের স্বাস্থ্য সুন্দর করার জন্য পেয়ারার পাতা একটি ভালো কাজ করে।


তাছাড়াও চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য পেয়ারার পাতার ভূমিকা অপরিহার্য।নিচে কিছু ব্যবহারের নিয়ম উল্লেখ করা হলো পেয়ারার পাতার-
  • একটি পরিষ্কার পাত্রে তিন বা চার কাপ পানি নিয়ে সেই পাত্রে পরিষ্কার করা ৫ থেকে ৬ টি পেয়ারার পাতা ওই পাত্রে পানির সাথে মিশিয়ে ২৫ মিনিটের মতো সিদ্ধ করে নিতে হবে।এরপর ওই পাত্রটির নামিয়ে গরম পানির সাথে আরও দুই কাপ ঠান্ডা পানি মিশে নিন।
  • এই পানিটি হালকা কুসুম গরম থাকা অবস্থায় মাথার ত্বকে বা চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট বা ৪৫ মিনিটের মতো রেখে দিতে হবে।৪৫ মিনিট পর মাথার চুলটি ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে পেয়ারার পাতা ব্যবহার করে চুলের উজ্জ্বলতা ও স্বাস্থ্য ভালো করা যায়। তবে এই ফলাফলটি আরো ভালো পাওয়ার জন্য একদিন আগে ঘুমানোর পূর্বে প্রয়োগ করে রাখতে হবে।
  • সপ্তাহে তিন দিন এ পদ্ধতিটি প্রয়োগ করতে হবে। তবেই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

পেয়ারার পাতার ব্যবহার ও বৈশিষ্ট্য

প্রতেকটি মানুষই তার সব ধরনের কাজেই পেয়ারার পাতা ব্যবহার করতে পারে বা করে আসছে।কারণ এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। কি কি কাজে মানুষেরা পেয়ারার পাতা ব্যবহার করতে পারবে তা নিজে উল্লেখ করা হলো-
  • যে সকল মানুষের দাঁতের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য পেয়ারার পাতা খুবই উপকারী। তারা এই পাতাটি ব্যবহার করে দাঁতের সমস্যা অতি দ্রুত সমাধান করতে পারবে।
  • মাথার চুল পড়া ও নতুন চুল গজাতে পেয়ারার পাতা সেদ্ধ করে তার পানিতে মাথা থেকে ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যাবে।
  • ত্বক সুন্দর রাখতে পেয়ারার পাতার পেস্ট করে ত্বকে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল দেখাবেন।
  • যে সকল মানুষের পেটের সমস্যা হয় তাদের জন্য পেয়ারার পাতায় চা খুবই উপকারী এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা সমাধান করে থাকে এই পেয়ারার পাতা।
  • শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি টনিক হলো পেয়ারার পাতার টনিক।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আমরা পেয়ারা পাতা উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি।যা আপনাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে।আমরা অনেকে সঠিকভাবে পেয়ারা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বা আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে জানিনা। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনার সবাই নতুন নতুন অনেক কিছু তথ্য পাবেন যা আপনাদের জন্য অনেক প্রয়োজনী।
আশাকরব,এই তথ্যগুলো পেয়ে আপনাদের ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন।এ সকল বিষয়ে আরো নতুন নতুন পোস্ট সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের সাথে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url